বোনধুর বাড়ি বাংলাদেশ,pat-1

 সময়টা ছিল ২০১৭, তখন আমরা ছুটিতে আছি আমার বন্ধু চিরঞ্জিত ওর কাকার বাড়ি বাংলাদেশ ও আমাকে বলল এখন তো ছুটি আছে তাহলে চ কাকার বাড়িতে ঘুরে আসি আমিও দেখলাম একটা সময় আছে একটু বাংলাদেশে গিয়ে ঘুরে আসি। ওকে হ্যাঁ বলে দিলাম। তারপর বিকালে ও বলল তাহলে যে কথা রইলো সেটাই রাতের সবকিছু আমি প্যাক করে নিলাম, সকাল আটটায় আমরা বেরিয়ে পড়লাম বাংলাদেশ পৌঁছাতে আমাদের সন্ধ্যা গড়িয়ে এলো ওর কাকাকে আগে থেকেই টেলিফোন করে দেওয়া হয়েছিল সেই মতো কাকা গুছিয়ে কিছু সবকিছু রেখেছিল, তাতে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ও ডাকল চপ খেয়ে নিবি, খাওয়া দাওয়া বেশ ভালোই হলো। খাওয়া-দাওয়া করে দুজন একটা রুম দিল শুয়ে পড়লাম। রাতে ও একবার আমাকে ডাকে, বাইরে যাবা বলে, বাড়ি থেকে এসে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। গ্রামে তো সকালে খুব তাড়াতাড়ি ওঠে আমি উঠে পড়লাম। চা খেলাম তোকে বললাম একটু বাইরের দিক থেকে ঘুরে আসি বাইরে ঘুরলাম অনেক কিছু দেখলাম বাগানে গেলাম মাঠ দেখলাম তখন হালকা শীত জায়গাটা আমার খুব ভালো লেগেছিল দুপুরে যখন খেতে বসি একটা আশ্চর্যজনক বিষয় দেখতে পেলাম। দেখলাম ওর ছোট কাকার, ডান হাত নেই তখন আমি আর কিছু বললাম না, পরে আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই তোর কাকার ডান হাতটা ওরকম কেন তখন ও আমাকে কিছু বলল না বলল রাতে বলবো তো আমার মনে তো প্রশ্ন করতেই আছে কেন এরকম রাতে শোবার টাইমে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম খুব এক্সাইড ছিলাম আমি। কখন রাত হবে কখন ওকে জিজ্ঞেস করবো। তখনও বলতে লাগলো সে অনেক কথা তখন আমাদের এই গ্রামে খুব দুর্দশা চলছে। কাকা মাছ ধরতে যেত। বর্ষার সময় মাছ ধরতে বেরিয়ে গেল। জাল ফেলল ফেলে সবাই মিলে বসে সময় কাটাচ্ছে কিছুক্ষণ পর কাকা বলল অনেক তো সময় হলো চলে রেজাল্টটাকে এবার তুলে জালটাকে তুলছে যখন খুব ভারী লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক মাছ হয়েছে বাটা বড় মাছ হয়েছে। তখন সে সবাইকে ধরতে বলল সবাই ধরে টেনে হিঁচড়ে হচ্ছে না। তখন জালটাকে ছেড়ে দিয়ে সবাই এক জায়গায় বসে পড়ল বলল, কিছুক্ষণ পর সবাই যখন জালটাকে তুলল দেখলে একটা কলসি যাকে কলেজ ও বলা হয়। সবাই খুব খুশি নদী থেকে উঠেছে মানে কোন ধন-সম্পদ আছে। কলসির ভেতরে তো সবাই তখন খুব এক্সট্রাক্ট তো অনেক চেষ্টা করলেও কলসি টা খোলা যাচ্ছে না। অনেক কষ্টের পর কলসি টা খোলা গেল কলসি খুলতেই ধন-সম্পত্তে কিছুই কেউ দেখতে পেল না। একটা বটকা গন্ধ বার হল তো সবাই চিন্তা ভাবনা করে আবার বলছি ঢাকনা বন্ধ করে ওখানে ফেলে দিল বাড়ি চলে আসলো সবাই। কাকা ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের ঘোরে কাকা স্বপ্ন দেখছে কলসির পাশে একটা সন্ন্যাসীর মত কে যেন হাত ছাউনি দিয়ে আমাকে ডাকছে। পরের দিন সকালবেলা দেখা যাচ্ছে চার পাঁচটা বাচ্চা নিখোঁজ হয়ে গেছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বাচ্চা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবারও আরও বেশি এরকম ৫-৬ দিন যায় আস্তে আস্তে গ্রাম থেকে সব যাতে ছোট বাচ্চা আছে সব বেরিয়ে যেতে লাগলো হঠাৎ একদিন ওই কলসির পাশ দিয়ে সেই স্বপ্ন দেখার লোকটা আমাকে ডাকছে। আমি কাছে গেলাম ও আমাকে বলল তোদের গ্রামে যা সমস্যা হচ্ছে আমি সব ঠিক করে দেবো। আমি তখন সাত পাঁচ না ভেবে গ্রামের কথা চিন্তা করে উনাকে আমি নিয়ে গেলাম গ্রামে। উনি আমাদের গ্রামের মাঠের সাইডে একটা ছোট কুঁড়েঘর বেছে নিল। কুরে ঘরের পাশেই ছিল শ্মশানে। তারপরের দিন সেই একই ঘটনা চারটে বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না। তখন সবাই দৌড়িয়ে ওই তান্ত্রিকের কাছে যাওয়া হলো তান্ত্রিক কে বলা হলো তান্ত্রিক ওই চারটা ছেলের মধ্যে দুটো ছেলেকে হাজির করলো আমি জিজ্ঞাসা করলাম আরো দুটো ছেলে তো পাওয়া যাচ্ছে না তখন তান্ত্রিক বলল বাবা আমি মরা ছেলেকে তো আনতে পারবো না এই ভাবেই দিন কাটছে আর তান্ত্রিকের কাছে গেলেই তান্ত্রিক দুটো তিনটে করে বাচ্চা নিয়ে আসছে। সবাইতান থেকে ওকে বিশ্বাস হয়ে গেল। দ্বিতীয় পারটি সোনার জন্য লাইক শেয়ার করে দিন গল্পটি খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পার্টি আসবে। ধন্যবাদ।

Comments